Please enable javascript.তমলুক লোকসভা নির্বাচন ফলাফল ২০২৪ (Tamluk Lok Sabha Election Result 2024), lok Sabha Vote er result, পশ্চিমবঙ্গ তমলুক নির্বাচন ফলাফল" as="script">
www.fgks.org   »   [go: up one dir, main page]

তমলুক লোকসভা নির্বাচন ফলাফল ২০২৪ (Tamluk Lok Sabha Election Result 2024)

লোকসভা ভোটে নজরে থাকবে বাংলার তমলুক লোকসভা কেন্দ্র। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট সৈনিক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিন বারের সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে পরাজিত করেন তিনি। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে।

তমলুক লোকসভা নির্বাচন ফলাফল

বিধানসভা নম্বর: 30 | লোকসভা আসন: তমলুক
  • 2024
  • 2019
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়7,65,584
BJPWON
প্রার্থী নামভোটরেজাল্ট
দেবাংশু ভট্টাচার্য6,87,851
TMCLOST
দেবপ্রসাদ জানা1,467
INDLOST
কালীপদ দাস974
INDLOST
মহিউদ্দিন আহমেদ মাহী12,339
AISFLOST
নারায়ণচন্দ্র নায়েক5,682
SUCI(C)LOST
NOTA8,265
NOTALOST
সাবিত্রী বিশাই3,754
BSPLOST
সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়85,389
CPMLOST
সূর্যনীল দাস6,014
INDLOST
তমলুক লোকসভা নির্বাচন_তথ্য

তমলুক বাংলার অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি লোকসভা কেন্দ্র। এর অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল , হলদিয়া (তফসিলি জাতি), নন্দীগ্রাম। ২০০৬ সালে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে নিয়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রটি পুনর্গঠিত হয়েছিল। সীমানা পুনর্নির্ধারণের আগে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি সংশ্লিষ্ট লোকসভার অন্তর্ভুক্ত ছিল সেগুলি হল তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, ময়না, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা, নরঘাট। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল অর্থাৎ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই কেন্দ্রের সাংসদ হন সতীশচন্দ্র সামন্ত। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। টানা ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনিই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সাংসদ থেকেছেন। এরপর ভারতীয় লোক দলের হয়ে ১৯৭৭ সালে সুশীল কুমার ধাড়া সাংসদ হন।

এরপর অবশ্য, ১৯৮০ সালে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে জয়ী হন বামেদের প্রতিনিধি সত্যগোপাল মিশ্র। এরপর ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সত্যগোপাল মিশ্র টানা তিনবার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সাংসদ হন। এরপর ১৯৯৮ সালে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবে শপথ নেন লক্ষ্মণ শেঠ। এই লোকসভা কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তমলুক লোকসভা কেন্দ্র ২০০৯ সাল পর্যন্ত বামেদের দখলে থেকেছে। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট সৈনিক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিন বারের সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে পরাজিত করেন তিনি। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীই। ২০০৪ সালেও তমলুক লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু, সেই সময় লক্ষ্মণ শেঠের কাছে পরাজিত হন তিনি। কিন্তু, তমলুক তথা পূর্ব মেদিনীপুর এবং পরবর্তীকালে রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক গুরুত্ব।

২০১৬ সালে উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয় দিব্যেন্দু অধিকারীকে। বিপুল জনসমর্থন পেয়ে তিনিও জয়ী হন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তমলুক লোকসভা এলাকায় বেশ ভালো ফলাফল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০ হাজারের বেশি মার্জিন পায় রাজ্য শাসক দল। এরপরেই লোকসভা নিয়ে আশাবাদী শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বকে। এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দিব্যেন্দু অধিকারীর শিবির বদলের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে একটি সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। যদিও তাঁর সেই সভা বাতিল হয়ে যায়। যদিও শিবির বদল নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘নির্দলের হয়েও তো লড়তে পারি। সময়ে সবটা সামনে আসবে। আগে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা তো হোক।’ উল্লেখ্য, রাজ্য শাসক দল তৃণমূলের জন্য তমলুক তথা পূর্ব মেদিনীপুর অনেকটাই প্রেস্টিজ ফাইট। ‘অধিকারী গড়’ হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর দখলে আনাই এখন রাজ্য শাসক দলের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

বীরভূম | কলকাতা দক্ষিণ | বনগাঁ | ব্যারাকপুর | দমদম | বারাসাত | বসিরহাট | কলকাতা উত্তর | হাওড়া | উলুবেরিয়া | শ্রীরামপুর | হুগলি | আরামবাগ | ঘাটাল | মেদিনীপুর | দার্জিলিং | বাঁকুড়া | রায়গঞ্জ | বিষ্ণুপুর | বালুরঘাট | মালদহ উত্তর | বর্ধমান দুর্গাপুর | আলিপুরদুয়ার | জলপাইগুড়ি | জঙ্গিপুর | মুর্শিদাবাদ | রানাঘাট | জয়নগর | মথুরাপুর | ঝাড়গ্রাম | পুরুলিয়া | বর্ধমান পূর্ব | ডায়মন্ড হারবার | যাদবপুর | কাঁথি | বহরমপুর | কৃষ্ণনগর | মালদহ দক্ষিণ | বোলপুর | আসানসোল

Disclaimer:This Data is as according as the publicly available affidavit information, submitted by the candidates to the Election Commission of India.