Please enable javascript.
জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো | 5,78,489 | BJPWON |
প্রার্থী নাম | ভোট | রেজাল্ট |
---|---|---|
অজিত মাহাতো | 3,318 | INDLOST |
অজিত প্রসাদ মাহাতো | 98,658 | INDLOST |
অসিত বরণ মাহাতো | 3,877 | PDSLOST |
ভাগবত দাস শাস্ত্রী | 4,512 | INDLOST |
ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো | 14,572 | AIFBLOST |
গোরিশ রায় | 4,809 | INDLOST |
নেপাল চন্দ্র মাহাতো | 1,29,157 | CONGLOST |
NOTA | 17,929 | NOTALOST |
পীযূষ কান্তি রজক | 3,418 | INDLOST |
শান্তিরাম মাহাতো | 5,61,410 | TMCLOST |
সন্তোষ রাজোয়ার্ড | 7,760 | BSPLOST |
সুস্মিতা মাহাতো | 6,109 | SUCI(C)LOST |
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুরুলিয়া। অসংরক্ষিত এই আসনটি পশ্চিমবঙ্গের ৩৫ নম্বর লোকসভা কেন্দ্র। বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর ও পারা বিধানসভা নিয়ে লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে। এই সাত বিধানসভার মধ্যে মানবাজার এবং পারা বিধানসভা কেন্দ্র সংরক্ষিত। তবে, এই লোকসভার অন্তর্ভুক্ত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র পুরুলিয়া জেলার মধ্যে অন্তর্গত।
১৯৫২ সালে লোকসভা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পুরুলিয়া। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে এই কেন্দ্রটি বামফ্রন্টের অন্যতন শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচয় পেয়েছিল। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যতগুলি লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল, নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রেখেছিল দলটি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পাঁচটি লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচবারই পুরুলিয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের চিত্তরঞ্জন মাহাত। ১৯৯৬-এ একাদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছিল বামফ্রন্টের শরিক দলটি। প্রার্থী করা হয়েছিল বীর সিং মাহাত-কে। ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট চারবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বীর সিং। ২০০৯ সালে নরহরি মাহাত-কে প্রার্থী করা হলে, পরিবর্তনের হাওয়ার মধ্যেও জয়ী হয়েছিলেন ফওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী। নরহরি মাহাত হারিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত-কে। ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩,৯৯,২০১ ভোট। অন্যদিকে, শান্তিরাম পেয়েছেন ৩,৭৯,৯০০ ভোট। বিজেপির সায়ন্তন বসু পেয়েছিলেন ২১,৫০৯ ভোট। ২০১৪ -এর লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া আসনটি হাতছাড়া হয়েছিল ফওয়ার্ড ব্লকের। জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাত। প্রায় এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন তৎকালীন সাংসদ নরহরি মাহাত। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪,৬৮,২৭৭ ভোট। যা, মোট ভোটের ৩৮.৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, নরহরি মাহাতর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩,১৪,৪০০। শতাংশের হিসেবে ২৬.০৯। ২০০৯ সালের তুলনায় বিজেপি বেশি ভোট পেলেও, প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছিল তারা। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৮৬,২৩৬ ভোট। কংগ্রেস ছিল তৃতীয় স্থানে। তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ২,৫৭,৯২৩।
২০১৯ সালে পুরুলিয়া লোকসভা আসনটি বিজেপির দখলে আসে। ২ লাখের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত হারিয়েছিলেন তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাত-কে। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬,৬৮,১০৭। যা, মোট ভোটের ৪৯.৩৩ শতাংশ। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪,৬৩,৩৭৫ ভোট। মোট ভোটের ৩৪.১৯ শতাংশ। কংগ্রেসের নেপাল মাহাত পেয়েছিলেন ৮৪,৪৭৭ ভোট। এছাড়া ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বীর সিং মাহাত ৬৮,৪৬৪ ভোট পেয়ে চতু্র্থ স্থান পেয়েছিলেন।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে ৫টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২ আসন পায় তৃণমূল। পুরুলিয়া বিজেপির মধ্যে কোন্দল থাকলেও, এবারও লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। গত বারের জয়ী প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জ্যোতির্ময়ের উপরই যে দল আস্থা রাখতে চলেছে, তা একপ্রকাশ নিশ্চিত বলাই যায়।
বীরভূম | কলকাতা দক্ষিণ | বনগাঁ | ব্যারাকপুর | দমদম | বারাসাত | বসিরহাট | কলকাতা উত্তর | হাওড়া | উলুবেরিয়া | শ্রীরামপুর | হুগলি | আরামবাগ | তমলুক | ঘাটাল | মেদিনীপুর | দার্জিলিং | বাঁকুড়া | রায়গঞ্জ | বিষ্ণুপুর | বালুরঘাট | মালদহ উত্তর | বর্ধমান দুর্গাপুর | আলিপুরদুয়ার | জলপাইগুড়ি | জঙ্গিপুর | মুর্শিদাবাদ | রানাঘাট | জয়নগর | মথুরাপুর | ঝাড়গ্রাম | বর্ধমান পূর্ব | ডায়মন্ড হারবার | যাদবপুর | কাঁথি | বহরমপুর | কৃষ্ণনগর | মালদহ দক্ষিণ | বোলপুর | আসানসোল