www.fgks.org   »   [go: up one dir, main page]

Beta

প্রতারিত হয়েছেন রানু, বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তাঁর মেয়ে

০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:০২

অনলাইন ডেস্ক
গায়িকা রানু মণ্ডল, তাঁর মেয়ে স্বাতী রায় ও অতীন্দ্র চক্রবর্তী। ছবি : সংগৃহীত

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ মুহূর্তে অন্যতম আলোচিত নাম কোনটি? অনেকের মাথায়ই নিমেষেই চলে আসবে রানু মণ্ডলের নাম। ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য এটি যেন আরো বেশি মাত্রায় সত্যি। ভারতের রানাঘাট রেলস্টেশনের গায়িকা রানু এখন ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক তারকা। রানুর দুঃসময়ে ছেড়ে যাওয়া স্বজনেরা তাঁর কাছে ভিড়ছেন একে একে।  তাদের মুখে ফুটতে শুরু করেছে কথার খৈ। যথারীতি ফিরেছেন রানুর মেয়েও। মায়ের প্রতি এখন প্রচুর ভক্তি দেখানো রানু তনয়া এবার করেছেন এক বিস্ফোরক মন্তব্য।

সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রানুর মেয়ে স্বাতী রায় রানাঘাট ক্লাবের সদস্য অতীন্দ্র চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাতী অভিযোগ করেন, তাঁর মায়ের অর্থ লুট করেছেন অতীন্দ্র। স্বাতী বলেন, ‘অতীন্দ্র আমার মাকে ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।’ অতীন্দ্রসহ রানাঘাট ক্লাবের সদস্যরাই তাঁকে তাঁর মায়ের কাছে যেতে দেননি বলে দাবি স্বাতীর। অতীন্দ্র ও ক্লাবের আরেক সদস্য তপন রানুর টাকা লুটের জন্যই এমনটি করেছেন বলে জানান স্বাতী।

 নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও একরকম উড়িয়ে দিলেন স্বাতী। তাঁর দাবি, মায়ের গান গাওয়ার বিষয়টি একেবারেই অজানা ছিল তাঁর। কিছুদিন আগে রানুকে ধর্মতলায় দেখে তাঁকে নাকি ২০০ টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধও করেছিলেন তিনি। এমনকি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মায়ের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পাঠাতেন বলেও দাবি করেন স্বাতী।

স্বাতী আরো জানান, তিনি তাঁর মায়ের প্রথম পক্ষের সন্তান। দ্বিতীয় পক্ষেও দুটি সন্তান রয়েছে রানুর। তাঁরা মুম্বাইতে থাকেন বলে শুনেছেন স্বাতী। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন স্বাতী। সেই সন্তানদের ব্যাপারে ক্ষোভও ঝরে পড়ে স্বাতীর কণ্ঠে। প্রশ্ন তোলেন, ‘তাঁরা কেন মায়ের খোঁজ নিচ্ছেন না?’

 পেশায় ইলেকট্রনিক টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার অতীন্দ্র চক্রবর্তী। রানাঘাট স্টেশন দিয়ে তাঁর নিত্যযাতায়াত। স্টেশন চত্বরে রানুর গান শুনে অবাক হয়েছিলেন। এর পর তিনি নিজ উদ্যোগে রানু মণ্ডলের গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর যখন সবাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান, তখন অতীন্দ্রই সবখানে নিজের মুঠোফোনের নম্বর দেন।

Advertisement