www.fgks.org   »   [go: up one dir, main page]

নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার
পরের সংবাদ» ৩০ মে ২০১৩, ২৩:০১ অপরাহ্ন

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্বরতা সব সীমা অতিক্রম করেছে। একের পর এক নজিরবিহীন বর্বরতা ঘটিয়ে চললেও তারা সব রকম জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে চলে গেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকার দলীয় স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিংস্র বাহিনীতে পরিণত করায় এখন কোনো অপরাধেই তাদের হাত কাঁপে না।
গত ক’দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একের পর এক বীভত্স আচরণ ও কুকীর্তির কথা ফাঁস হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী এখন রাজনীতিক, সম্পাদকসহ সমাজের বরেণ্য ব্যক্তিদের ওপরও অকল্পনীয় বর্বরতা চালাচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে বরেণ্য আলেম মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে কার্যত মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর আগে ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতিকে বর্বর নির্যাতনের মাধ্যমে মৃতপ্রায় মানুষে পরিণত করা হয়েছে। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী যে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, তা কোনো সুস্থ মানুষের কল্পনা করাও কঠিন।
পুলিশ হেফাজতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ওসির বর্বর নির্যাতনে শামিম রেজা নামে এক যুবকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবা আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, পুলিশ তার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা উেকাচ নিয়েও শামিমকে নির্যাতন চালিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এরপর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশি তদন্তেও শামিমকে হত্যার জন্য তিন পুলিশ কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) অরূপ তরফদার, এসআই পল্টু ঘোষ এবং এএসপি উত্তম প্রাসাদকে দায়ী করা হয়েছে।
পুলিশি বর্বরতার সর্বশেষ খবর প্রকাশ করেছে গতকাল দৈনিক ইত্তেফাক। এতে দেখা যায়, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার এক নিরপরাধ ব্যবসায়ীকে ধরে এনে ব্যাপক নির্যাতন করে তার কাছ থেকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা আদায় করেছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তার ওপর বর্বর নির্যাতন চালায় ডিসি ডিবির অনুগত পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি নেতারাও পুলিশি বর্বরতা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে রাজপথে যেভাবে পেটানো হয়েছে—তা এক কথায় নজিরবিহীন। বিএনপির বহু সিনিয়র নেতাই পুলিশি বর্বরতার শিকার হয়েছেন। সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমইউ আহমেদকে পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করলেও এজন্য কারোই বিচার হয়নি।
আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে—দেশের বরেণ্য নাগরিকদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়লেও দেশের সবচেয়ে ঘৃণ্য নাগরিকদের ব্যাপারে পুলিশ খুবই সদয় আচরণ করে থাকে।
তাই ঠাণ্ডা মাথার খুনি সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা রিমান্ডেও থাকে জামাই আদরে। একই অবস্থা তাজরীন ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ার হোসেনের।
দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী এভাবে একের পর অপকর্ম করলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে ভয়ঙ্কর অপরাধের মাত্রা দিনদিনই বাড়ছে।
বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, বিভিন্ন ইস্যুতে গ্রেফতারবাণিজ্য, রিমান্ডে নিয়ে বর্বর নির্যাতন করে পঙ্গু ও হত্যা করা, ঘুষ গ্রহণের জন্য গ্রেফতার ও নির্যাতন, টাকার বিনিময়ে গুম ও ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহই।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়, বর্তমানে কারাগারে আটক লোকদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই বিনাবিচারে আটক রয়েছেন। ২০১২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার।
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই এখন যে কোনো সময় যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে।
তিনটি রিমান্ডের ঘটনায় সারাদেশ স্তম্ভিত : অতিসম্প্রতি তিনটি রিমান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতায় স্তম্ভিত হয়ে গেছে দেশবাসী। রিমান্ডের নির্যাতনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন। তাকে দেড় মাসের বেশি সময়ের জন্য রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরীকে নিম্ন আদালত একনাগাড়ে ৩১ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। মিথ্যা অভিযোগে আটক দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ১৩ দিনের রিমান্ডে পাঠায় নিম্ন আদালত। রিমান্ডে এদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতার চিত্র দেখে দেশবাসী স্তম্ভিত হয়ে গেছে। এ তিনজনের জীবনই এখন চরম ঝুঁকিতে।
সম্প্রতি বিএনপির আটক ১৫১ নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের একযোগে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এভাবে গ্রেফতার আর রিমান্ডের অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। এতে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মানবাধিকার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, থানা, ডিবি, আদালত ও জেলখানায় প্রতিদিন পুলিশের হাতে আটক নিরপরাধ মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আটকদের স্বজনরা আদালত, কারাগারের গেট, থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাব কার্যালয়ে ধরনা দিচ্ছেন। কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটকের পর ঠুকে দেয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা। পেন্ডিং মামলায়ও ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে ভিন্নমতের লোকজনকে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জামিন পেয়েও কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পুলিশকে টাকা দিতে হচ্ছে। আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হওয়া ব্যক্তিকেও সংশ্লিষ্ট থানা অথবা গোয়েন্দা পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে জেলগেট থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে আবারও নতুন নতুন মামলায়।
নানা অভিযোগে পুলিশ লোকজনকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। পুলিশের গ্রেফতার ও রিমান্ডবাণিজ্য চলছে অহরহ। গোয়েন্দা দফতর, থানা হেফাজত, কারাগার—সবখানেই উেকাচবাণিজ্য ওপেন সিক্রেট। বিরোধী মতের লোকজন ছাড়াও সাধারণ মানুষ পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছে। গ্রেফতার আতঙ্কে বাসাবাড়িতে রাতযাপন করতে পারছেন না বিরোধী মতের কর্মী-সমর্থকরা। গণগ্রেফতারে দেশের ৬৬টি কারাগারে এখন আর ঠাঁই নেই।
পুলিশের রিমান্ড, নির্যাতনের পর কারাগারে আটক করে মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বন্দিদের। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ও রাজনৈতিক বিরোধে ফায়দা হাসিলের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহজেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও ঢাকা অবরোধের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরপরাধ, সাধারণ মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের নামে বহু মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও কতিপয় ব্যক্তিকে বাদী করে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদরাসায় গিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রদের তালিকা নিচ্ছে পুলিশ। বিশেষ করে মাদরাসার হাজিরা খাতায় ১ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত উপস্থিতদের তালিকা নিয়ে পুলিশ গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। গত ৬ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধের দিনের উপস্থিতির দিনকে কেন্দ্র করে এ তালিকা নেয়া হচ্ছে বলে মাদরাসার শিক্ষক ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
গ্রেফতার আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়ছে মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রম। এ ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সারা দেশে অনেক অরাজনৈতিক ব্যক্তি, মসজিদের মুসল্লি, ইমাম ও মোয়াজ্জেনসহ সাধারণ নিরীহ ব্যক্তির তালিকা থানায় জমা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের তৈরি করে দেয়া এই তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আর এ তালিকা অনুযায়ী পুলিশ সুযোগ বুঝে গ্রেফতার অভিযানের নামে মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করছে।
আটকের পর রিমান্ডে নেয়ার ব্যাপারে মানা হচ্ছে না উচ্চ আদালতের নির্দেশনা। ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ মামলায় বিচারপতি মো. হামিদুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল কাউকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। এই নির্দেশনাই ঐতিহাসিক ৫৫ ডিএলআর নামে পরিচিত। হাইকোর্টের এ নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়। আপিল বিভাগেও হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।
সম্প্রতি বিএনপির আটক ১৫১ নেতাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের একযোগে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। গত বছর ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২০ নারীকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
রিমান্ড প্রার্থনা ও রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সরকার ও নিম্ন আদালত প্রকাশ্যেই উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে চলেছে বলেও মনে করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা। আইনজীবীরা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা হচ্ছে, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো ব্যক্তিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করতে পারবে।’ বর্তমানে কোনো কোনো ব্যক্তিকে একনাগাড়ে এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করছে নিম্ন আদালত। এটা উচ্চ আদালতের নির্দেশনার স্পষ্ট লঙ্ঘন ও অবজ্ঞা প্রদর্শন।
ডিসি ডিবির ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনারের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে ধরে এনে ব্যাপক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। সৈয়দ আবিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী পরে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন। এই পরিমাণ টাকা দিতে গিয়ে তিনি কার্যত কপর্দকহীনে পরিণত হয়েছেন।
টাকা দেয়ার প্রমাণ হিসেবে তিনি টাকা নেয়ার দৃশ্যসম্বলিত সিসিটিভির ফুটেজও দিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে। ওই ফুটেজে টাকা নেয়ার দৃশ্যটি স্পষ্ট। বিষয়টি বর্তমানে একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টির তদন্ত করে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পেশ করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গুলশান ১ নম্বরের ৭ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়ির বি/১০ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন সৈয়দ আবিদুল ইসলাম। গত ৭ এপ্রিল ভোরে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী একদল লোক ওই বাসায় যায়। বাসায় কালো একটি ব্যাগে অবৈধ এক কোটি টাকা রাখা আছে দাবি করে ডিবির ওই দলটি পুরো বাসা তল্লাশি করে। একপর্যায়ে চাবি নিয়ে বাসার আলমারি, ওয়্যারড্রোবসহ আসবাবপত্র তছনছ করলেও কোথাও তারা টাকা পায়নি। ফিরে আসার সময় ইন্সপেক্টর আজাহার উদ্দিন ও এসআই হাসনাতের নেতৃত্বে অভিযান চালানো ওই দলটি স্বর্ণের গহনার একটি বাক্স নিয়ে আসতে চায়। আবিদুলের স্ত্রী তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে আবিদুরকে নিয়ে রওনা দেয় ডিবির দলটি। সকাল ৬টায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবির ডিসি (উত্তর) কক্ষে। এটি ডিবির টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত।
কবিরুল হকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, আবিদুলকে ডিসি ডিবির পাশের কক্ষে নিয়ে ব্যাপক পেটাতে থাকে ইন্সপেক্টর আজাহার উদ্দিন ও এসআই হাসনাত। একপর্যায়ে আবিদুলকে জানানো হয়, বাঁচতে হলে ১০ কোটি টাকা দিতে হবে। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে ব্যাপক নির্যাতন। টাকা না দিলে জামায়াতে ইসলামী ও হিযবুত তাহরীর বলে সারা জীবন জেল খাটানোর ভয় দেখানো হয়। এ সময় আবিদুলকে চিন্তা-ভাবনার জন্য এক ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। সকাল ১০টায় এসআই হাসনাত তার সিদ্ধান্ত জানতে চান।
ডিসি ডিবির নাম উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, স্যার টাকা ছাড়া কিছু বোঝেন না। অতএব টাকা না দিলে মুক্তি মিলবে না। খাল-বিলে পাওয়া যাবে তার লাশ। তাই টাকা তাকে দিতেই হবে।
একপর্যায়ে আবিদুল ইসলাম এক কোটি টাকা দিতে রাজি হন। ডিসি ডিবির রুম থেকে ফিরে এসে হাসনাত জানান, স্যার এই টাকাতে রাজি হয়েছেন। এখনই টাকার ব্যবস্থা করেন। তবে ডিসি ডিবি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রথম পাতা এর আরও সংবাদ

weekly


উপরে

X